পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা
ভিউ পয়েন্ট : পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম
মজুরি ২ হাজার ৭০০
টাকা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন শ্রম
প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। ফলে
তৈরি পোশাক শ্রমিকের নিম্নতম
মজুরি দাঁড়াবে ৮ হাজার টাকা। তবে
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে
এ মজুরি কার্যকর হবে।
![]() |
পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা |
বৃহস্পতিবার বিকালে
সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান
মন্ত্রণালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের
এ কথা জানান।
শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, পোশাক
শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি হবে ৮
হাজার টাকা। এর মধ্যে
বেসিক ৪ হাজার ১০০
টাকা, বাড়ি ভাড়া ২
হাজার ৫০ টাকা এবং
অন্যান্য ১ হাজার ৮৫০।
মুজিবুল হক চুন্নু জানান,
আগামী ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে
নতুন বেতন কার্যকর হবে।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের পঞ্চম
সভায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে
প্রায় দেড় ঘণ্টা দর-কষাকষির পর পোশাক শ্রমিকের
মজুরি বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত
চূড়ান্ত হয়। পরে সচিবালয়ে
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন,
ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি
কাঠামোতে মজুরি পাবেন পোশাক
শ্রমিকেরা।
রাজধানীর তোপখানা রোডে মজুরি বোর্ডের
কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল
সাড়ে তিনটার কিছুক্ষণ পর
বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম
সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পোশাক খাতের
মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি
শামছুন্নাহার ভূঁইয়া, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি ফজলুল
হক, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী
সাইফুদ্দিন ও নিরপেক্ষ প্রতিনিধি
কামাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার
পর বৈঠক শেষে বোর্ডের
চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্য সচিবালয়ে
যান। সেখানেই পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম
মজুরি ৮ হাজার টাকা
নির্ধারণের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান
শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
দেশের পণ্য রপ্তানির আয়ের
৮৪ শতাংশ পোশাক খাত
থেকে আসে। এ খাতে
কাজ করেন প্রায় ৩৬
লাখ শ্রমিক। ১৯৯৪ সালে শ্রমিকদের
নিম্নতম মজুরি ছিল ৯৩০
টাকা। ২০০৬ সালে সেটি
বৃদ্ধি করে ১ হাজার
৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা
করা হয়। ২০১০ সালের
মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের নিম্নতম
মজুরি ৩ হাজার টাকা
করা হয়। ২০১৩ সালের
ডিসেম্বরে ৫ হাজার ৩০০
টাকা মজুরি কার্যকর হয়েছিল।
No comments