যেসব খাবারে বুদ্ধি কমে
যেসব খাবারে বুদ্ধি কমে:
যখন কথা হবে
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিয়ে, তখন অবধারিত ভাবেই চলে আসবে বেশ কিছু খাবারের নাম। এদের কোনোটি
আপনাকে স্বাস্থ্যবান করে তুলবে। কোনোটি হয়তো আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াবে। কিন্তু জানেন
কি, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনার মস্তিষ্কের
বুদ্ধি বৃত্তিক ক্ষমতা হ্রাস পাবে? চলুন জেনে নেয়া এ রকমই কয়েকটি খাবর সম্পর্কে।
![]() |
যে খাবারে বুদ্ধি কমে |
(১) মিষ্টি জাতীয় খাবার-
মিষ্টি জাতীয়
খাবার সব সময়ই মস্তিষ্কের জন্য খারাপ। যারা সব সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খান তাদের
বিভিন্ন ধরণের স্নায়বিক সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া এটি মানুষের স্মৃতিশক্তিকে ও ক্ষতি
গ্রস্ত করে। চিনি মানুষের শেখার ক্ষমতাকে বাধা গ্রস্ত করে। এজন্য যে সব খাবার বেশি
মিষ্টি সেগুলো পরিহার করা উচিত।
(২) ফাস্টফুড-
মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের
নতুন এক গবেষণা বলছে, ফাস্টফুড মানুষের মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থকে
পরিবর্তিত করে দেয়। এর ফলে মানুষের মাঝে হতাশা ও দুশ্চিন্তা দেখা দেয়।এই উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারগুলো
মস্তিষ্ক থেকে ডোপামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত করে।ডোপামাইন আমাদের
সুখ ও আনন্দের অনুভূতিগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি আমাদের শেখার
ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাই উচ্চ চর্বিযুক্ত ফাস্ট যত কম খাওয়া যায় তত ভালো।
(৩) শুকনো বা ফ্রায়েড খাবার-
আজ কাল নানা
ধরণের ফ্রায়েড খাবার বলতে সবাই অজ্ঞান। কিন্তু জানেন কি, ফ্রায়েড ফুডের নামে আমরা যা খাই তা ধীরে ধীরে আমাদের মস্তিষ্কের
কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয়। কারণ এ ধরণের সব খাবারে কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার, নানা ধরণের
রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় এদেরকে সুস্বাদু করার জন্য। যা মস্তিষ্কের জন্য ভয়াবহ
ভাবে ক্ষতি কর।
(৪) লবণাক্ত খাবার-
অতিরিক্ত লবণ
আমাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ। এটি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অবস্থার হের ফের ঘটায়, সেই সাথে হার্টের জন্যও অপকারী। গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার আমাদের চিন্তাশক্তির ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত
করে। শুধু তাই নয়, ভয়ের কথা হচ্ছে নিকোটিন মানুষের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, অতিরিক্ত লবন যুক্ত খাবারও মানুষের এক ইক্ষতি করে।
(৫) নিকোটিন-
এটি যদিও কোন
খাবার নয় কিন্তু ধূমপান যারা করেন বা যারা সব সময় ধূমপায়ীদের আশে পাশে থাকেন তাদের
মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। নিকোটিন মস্তিষ্কে রক্ত, অক্সিজেন ও গ্লুকোজের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। নিকোটিনের
কারণে মানুষের শরীরে দ্রুত বার্ধক্যের ছাপ চলে আসে, নিঃশ্বা সে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। আর সেই সাথে ফুসফুসের ক্যন্সারের
ঝুঁকিতো আছেই।
(৬) এলকোহল-
এলকোহল আমাদের
লিভারের ক্ষতি করে এটা সবাই জানে। কিন্তু এটি একই সাথে আমাদের মস্তিষ্কেও। ক্ষতিকর প্রভাব
ফেলে যার নাম ‘ব্রেইনফগ’ কিংবা কুয়াশাচ্ছন্ন মস্তিষ্ক। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক
ভাবে চিন্তা করতে পারেন না। সব কিছুতেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগেন। একই সাথে এটি স্মৃতিশক্তির হ্রাস ঘটায়। খুব সাধারণ বিষয় কিংবা
ঘটনা মনে রাখা এই সময় খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সূত্রঃ ইন্টারনেট
No comments