Header Ads

Best Electronics

জুম’আর নামাজের ফযীলত ও তা আদায়কারীদের পুরষ্কার


জুমআর নামাজের ফযীলত তা আদায়কারীদের জন্য ঘোষিত পুরষ্কার

) কুরবানী করার সমান সওয়াব অর্জিত হয়ঃ
জুমআর দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানী করার সমতুল্য
সওয়াব পাওয়া যায়
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি জুমআর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)
জুম’আর নামাজের ফযীলত-ভিউ পয়েন্ট

) মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে ফেরেশতারা অগ্রগামীদের নাম তালিকাভুক্ত করেনঃ
জুমআর সালাতে কারা অগ্রগামী, ফেরেশতারা এর তালিকা তৈরি করে থাকেন
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুমআর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়
সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, সর্বশেষ
পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওাব্ব লিখে থাকেন আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান
(বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬)

) দশ দিনের গুনাহ মাফ হয়ঃ
জুমআর দিনের আদব যারা রক্ষা করে তাদের দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি ভালভাবে পবিত্র হল অতঃপর মসজিদে এলো, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনতে চুপচাপ বসে রইল, তার জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী সাত
দিনের সাথে আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ মাফ
করে দেওয়া হয় পক্ষান্তরে খুৎবার সময় যে ব্যক্তি পাথর, নুড়িকণা বা অন্য কিছু নাড়াচাড়া করল সে যেন অনর্থক কাজ করল’ (মুসলিমঃ ৮৫৭)

) জুমআর আদব রক্ষাকারীর দশ দিনের গুনাহ মুছে যায়ঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুমআর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয় () এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না () দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুমআয় হাজির হয় সেখানে দু মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না () তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুমআয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুমআর মধ্যবর্তী দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন” (আবু দাউদঃ ১১১৩)

) প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের নফল রোজা এক বছরের সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব অর্জিত হয়ঃ
যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুমআর সালাত আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার
সওয়াব লিখা হয়
আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
জুমাআর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম
ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮)

) দুই জুমআর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারাঃ
জুমআর সালাত জুম আদায়কারীদের জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারা স্বরূপ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুম থেকে পরবর্তী জুম, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া সকল (সগীরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে, বান্দা কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে” (মুসলিমঃ ২৩৩)
লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু খুৎবা

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.