Header Ads

Best Electronics

জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব



জুমার দিনের মাহাত্ম্য গুরুত্ব

জুমার জন্য গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, দিনে দো করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া দিনের কোন এক সময়ে দো কবুল হওয়ার বিবরণ এবং জুমার পর বেশী বেশী মহান আল্লাহর যিকির করা মুস্তাহাব
মহান আল্লাহ বলেছেন,
ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻠﻪ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ : ﴿ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻀِﻴَﺖِ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓُ ﻓَﭑﻧﺘَﺸِﺮُﻭﺍْ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﭐﺑۡﺘَﻐُﻮﺍْ ﻣِﻦ ﻓَﻀۡﻞِ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﻭَﭐﺫۡﻛُﺮُﻭﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻛَﺜِﻴﺮٗﺍ ﻟَّﻌَﻠَّﻜُﻢۡ ﺗُﻔۡﻠِﺤُﻮﻥَ ١٠ ‏( ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ : ١٠ ‏)
অর্থাৎ অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর আল্লাহকে অধিক-রূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও (সূরা জুমআ ১০ আয়াত)
জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব

হাদীসসমূহ:
1/1154 ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪِ ‏« ﺧَﻴْﺮُ ﻳَﻮﻡٍ ﻃَﻠَﻌَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲُ ﻳَﻮْﻡُ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ : ﻓِﻴﻪِ ﺧُﻠِﻖَ ﺁﺩَﻡُ، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺃُﺩْﺧِﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺃُﺧْﺮِﺝَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ‏» .
ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
/১১৫৪ আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাঁকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে” (মুসলিম) [1]
2/1155 ﻭَﻋَﻨْﻪ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏« ﻣَﻦْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟﻮُﺿُﻮﺀَ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔَ، ﻓَﺎﺳْﺘَﻤَﻊَ ﻭَﺃَﻧْﺼَﺖَ، ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻪُ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻭَﺯِﻳﺎﺩَﺓُ ﺛَﻼَﺛَﺔِ ﺃﻳَّﺎﻡٍ، ﻭَﻣَﻦْ ﻣَﺲَّ ﺍﻟﺤَﺼَﻰ، ﻓَﻘَﺪْ ﻟَﻐَﺎ ‏» . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
/১১৫৫ উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু সম্পাদন করে জুমার নামায পড়তে আসবে এবং নীরবে মনোযোগ-সহকারে (খুতবা) শুনবে, তার সেই জুমআ হতে পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সময় তথা আরও তিন দিনের (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে আর যে ব্যক্তি কাঁকর স্পর্শ করবে, সে বাজে কাজ করবে” (মুসলিম) [2]
3/1156 ﻭَﻋَﻨْﻪ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕُ ﺍﻟﺨَﻤْﺲُ، ﻭَﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻭَﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ، ﻣُﻜَﻔِّﺮَﺍﺕٌ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻦَّ ﺇِﺫَﺍ ﺍﺟْﺘُﻨِﺒَﺖِ ﺍﻟﻜَﺒَﺎﺋِﺮُ ‏» . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
/১১৫৬ উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে আরও বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পাঁচ অক্ত নামায, এক জুমআ হতে পরের জুমআ পর্যন্ত, এক রমজান হতে অন্য রমযান পর্যন্ত (কৃত নামায-রোযা) সেগুলির মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপ-রাশির প্রায়শ্চিত্ত (মোচন-কারী) হয় (এই শর্তে যে,) যখন মহাপাপ থেকে বিরত থাকা যাবে” (মুসলিম) [3]
4/1157 ﻭَﻋَﻨْﻪ، ﻭَﻋَﻦِ ﺍﺑﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﻧَّﻬُﻤَﺎ ﺳَﻤِﻌَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻋْﻮَﺍﺩِ ﻣِﻨْﺒَﺮِﻩِ : ‏« ﻟَﻴَﻨْﺘَﻬِﻴَﻦَّ ﺃَﻗْﻮَﺍﻡٌ ﻋَﻦْ ﻭَﺩْﻋِﻬِﻢُ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺎﺕِ ﺃَﻭْ ﻟَﻴَﺨْﺘِﻤَﻦَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻢْ ﺛُﻢَّ ﻟَﻴَﻜُﻮﻧُﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻐَﺎﻓِﻠِﻴﻦَ ‏» . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
/১১৫৭ আবূ হুরাইরা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর কাঠের মিম্বারের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় কথা বলতে শুনেছেন যে, “লোকেরা যেন জুমআ ত্যাগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকে; নচেৎ আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেবেন, তারপর তারা অবশ্যই উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে” (মুসলিম) [4]
5/1158 . ﻭَﻋَﻦِ ﺍﺑﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺇِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢُ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔَ ﻓَﻠْﻴَﻐْﺘَﺴِﻞْ ‏» . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
/১১৫৮ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন জুমাতে আসার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন গোসল করে” (বুখারী মুসলিম) [5]
6/1159 ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﻏُﺴْﻞُ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻭَﺍﺟِﺐٌ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﻣُﺤْﺘَﻠِﻢٍ ‏» . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
/১১৫৯ আবু সাঈদ খুদরী
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক সাবালকের উপর জুমার দিনের গোসল ওয়াজিব” (বুখারী মুসলিম) [6]
এখানে ওয়াজিবের অর্থ এখতিয়ারী ওয়াজিব (মুস্তাহাব) ধরা হয়েছে যেমন কেউ তার সাথীকে বলে, ‘আমার উপর তোমার অধিকার ওয়াজিব’ (অর্থাৎ অবশ্য পালনীয়) এর মানে প্রকৃত ওয়াজিব নয়; যা ত্যাগ করলে কঠোর শাস্তির উপযুক্ত হতে হয় আর আল্লাহই অধিক জানেন (ওয়াজিব না হওয়ার প্রমাণ পরবর্তী হাদিস)
7/1160 ﻭَﻋَﻦْ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏« ﻣَﻦْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻓَﺒِﻬَﺎ ﻭَﻧِﻌْﻤَﺖْ ﻭَﻣَﻦِ ﺍﻏْﺘَﺴَﻞَ ﻓَﺎﻟﻐُﺴْﻞُ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ‏» ﺭﻭﺍﻩ ﺃَﺑُﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ، ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ
/১১৬০ সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে ওযু করল তাহলে তা যথেষ্ট উত্তম আর যে গোসল করল, (তার) গোসল হল সর্বোত্তম
(আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান) [7]
8/1161 ﻭَﻋَﻦْ ﺳَﻠﻤَﺎﻥَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏« ﻻَ ﻳَﻐْﺘَﺴِﻞُ ﺭَﺟُﻞٌ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻭَﻳَﺘَﻄَﻬَّﺮُ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﻣِﻦ ﻃُﻬْﺮٍ، ﻭَﻳَﺪَّﻫِﻦُ ﻣِﻦْ ﺩُﻫْﻨِﻪِ، ﺃَﻭْ ﻳَﻤَﺲُّ ﻣِﻦْ ﻃِﻴﺐِ ﺑَﻴْﺘِﻪِ، ﺛُﻢَّ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﻓَﻼَ ﻳُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﺛﻨَﻴْﻦِ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻣَﺎ ﻛُﺘِﺐَ ﻟَﻪُ، ﺛُﻢَّ ﻳُﻨْﺼِﺖُ ﺇِﺫَﺍ ﺗَﻜَﻠَّﻢَ ﺍﻹﻣَﺎﻡُ، ﺇِﻻَّ ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻪُ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ‏» . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
/১১৬১ সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোন ব্যক্তি জুমার দিন গোসল সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে,
নিজসব তেল গায়ে লাগায় অথবা নিজ ঘরের সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করে,
অতঃপর (মসজিদে) গিয়ে দুজনের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করেই (যেখানে স্থান পায়, বসে যায়) এবং তার ভাগ্যে যত রাকআত নামায জোটে, আদায় করে তারপর ইমাম খুতবা আরম্ভ করলে নীরব থাকে, সে ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট জুম থেকে পরবর্তী জুম পর্যন্ত কৃত সমুদয় (ছগীরা) গুনাহ-রাশিকে মাফ করে দেওয়া হয়” (বুখারী) [8]
9/1162 ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﻣَﻦِ ﺍﻏْﺘَﺴَﻞَ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻏُﺴْﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَﺎﺑَﺔِ، ﺛُﻢَّ ﺭَﺍﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺍﻷُﻭﻟَﻰ ﻓَﻜَﺄﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺑَﺪَﻧَﺔً، ﻭَﻣَﻦْ ﺭَﺍﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻴَﺔِ، ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺑَﻘَﺮَﺓً، ﻭَﻣَﻦْ ﺭَﺍﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺍﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔِ، ﻓَﻜَﺄﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﻛَﺒْﺸﺎً ﺃَﻗْﺮَﻥَ، ﻭَﻣَﻦْ ﺭَﺍﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺍﻟﺮَّﺍﺑِﻌَﺔِ، ﻓَﻜَﺄﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺩَﺟَﺎﺟَﺔً، ﻭَﻣَﻦْ ﺭَﺍﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺍﻟﺨَﺎﻣِﺴَﺔِ، ﻓَﻜَﺄﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺑَﻴْﻀَﺔً، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺧَﺮَﺝَ ﺍﻹﻣَﺎﻡُ، ﺣَﻀَﺮَﺕِ ﺍﻟﻤَﻼَﺋِﻜَﺔُ ﻳَﺴْﺘَﻤِﻌُﻮﻥَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮَ ‏» . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ .
/১১৬২ আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন নাপাকির গোসলের ন্যায় গোসল করল এবং (সূর্য ঢলার সঙ্গে সঙ্গে) প্রথম অক্তে মসজিদে এল, সে যেন একটি উঁট দান করল যে ব্যক্তি দ্বিতীয় সময়ে এলো, সে যেন একটি গাভী দান করল যে ব্যক্তি তৃতীয় সময়ে এলো, সে যেন একটি শিংবিশিষ্ট দুম্বা দান করল যে ব্যক্তি চতুর্থ সময়ে এলো, সে যেন একটি মুরগী দান করল আর যে ব্যক্তি পঞ্চম সময়ে এলো, সে যেন একটি ডিম দান করল তারপর ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হন, তখন (লেখক) ফেরেশতাগণ যিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে যান
(বুখারী মুসলিম) [9]
10/1163 ﻭَﻋَﻨْﻪ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺫَﻛَﺮَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ‏« ﻓِﻴﻬَﺎ ﺳَﺎﻋَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻮَﺍﻓِﻘُﻬَﺎ ﻋَﺒْﺪٌ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ، ﻭَﻫُﻮَ ﻗَﺎﺋِﻢٌ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻳَﺴْﺄﻝُ ﺍﻟﻠﻪَ ﺷَﻴْﺌﺎً، ﺇِﻻَّ ﺃَﻋْﻄَﺎﻩُ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ‏» ﻭَﺃﺷَﺎﺭَ ﺑﻴَﺪِﻩِ ﻳُﻘَﻠِّﻠُﻬَﺎ . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
১০/১১৬৩ উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা জুমার দিন সম্বন্ধে আলোচনা করে বললেন, “ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তা দান করে থাকেন কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত (বুখারী মুসলিম) [10]
11/1164 ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺑُﺮْﺩَﺓَ ﺑﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺍﻷَﺷﻌَﺮِﻱِّ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﻋَﺒﺪُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑﻦُ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﺳَﻤِﻌْﺖَ ﺃَﺑَﺎﻙَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻓِﻲ ﺷَﺄْﻥِ ﺳَﺎﻋَﺔِ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﺳَﻤِﻌْﺘُﻪُ ﻳَﻘُﻮْﻝ : ﺳَﻤِﻌﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻳَﻘُﻮْﻝُ :
‏« ﻫِﻲَ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﻠِﺲَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡُ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻥْ ﺗُﻘْﻀَﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ‏» . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
১১/১১৬৪ আবূ বুর্দাহ ইবনে আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আপনি কি জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্ত সম্পর্কে আপনার পিতাকে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন?’ তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘হ্যাঁ আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কথা বলতে শুনেছি যে, “সেই মুহূর্তটুকু ইমামের মেম্বারে বসা থেকে নিয়ে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের ভিতরে” (মুসলিম) [11]
12/1165 ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﻭﺱِ ﺑﻦِ ﺃَﻭﺱٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏« ﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺃَﻓْﻀَﻞِ ﺃَﻳَّﺎﻣِﻜُﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓَﺄَﻛْﺜِﺮُﻭﺍ ﻋَﻠَﻲَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻓِﻴﻪِ ؛ ﻓَﺈِﻥَّ ﺻَﻼَﺗَﻜُﻢْ ﻣَﻌْﺮُﻭﺿَﺔٌ ﻋَﻠَﻲَّ ‏» . ﺭﻭﺍﻩ ﺃَﺑُﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﺑﺈﺳﻨﺎﺩ ﺻﺤﻴﺢ
১২/১১৬৫ আওস ইবনে আওস
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম একটি দিন হচ্ছে জুমার দিন সুতরাং দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরূদ পাঠ কর কেননা, তোমাদের পাঠ করা দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়
(আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে) [12]
[1] মুসলিম ৮৫৪, তিরমিযী ৪৮৮, ৪৯১,
নাসায়ী ১৩৭৩, ১৪৩০, আহমাদ ৭৬৩০,
৮১৪১, ৯৯৩০, ১০১৬৭, ১০২৬৭, ১০৫৮৭,
২৭৬০৮, ২৭২৩৪
[2] মুসলিম ৮৫৭, তিরমিযী ৪৯৮, আবূ দাউদ ১০৫০, ইবনু মাজাহ ১০৯০, আহমাদ ৯২০০
[3] মুসলিম ২৩৩, তিরমিযী ২৪১, ইবনু মাজাহ ১০৭৬, আহমাদ ৭০৮৯, ৮৪৯৮,
৮৯৪৪, ৯০৯২, ১০১৯৮, ২৭২৯০
[4] মুসলিম ৮৬৫, নাসায়ী ১৩৭০, ইবনু মাজাহ ৭৯৪, ১১২৭, আহমাদ ২১৩৩, ২২৯০,
৩০৮৯, ৫৫৩৫, দারেমী ১৫৭০
[5] সহীহুল বুখারী ৯১৯, ৮৭৭, ৮৯৪,
তিরমিযী ৪৯৩, নাসায়ী ১৩৭৬, ১৪০৫,
১৪০৭, ইবনু মাজাহ ১০৮৮, আহমাদ ৩০৫০,
৪৪৫২, ৪৫৩৯, ৪৯০১, ৪৯২৩, ৪৯৮৫, ৪৯৮৮,
মুওয়াত্তা মালিক ২৩১, দারেমী ১৫৩৬
[6] সহীহুল বুখারী ৯১৯, ৮৭৭, ৮৯৪,
তিরমিযী ৪৯৩, নাসায়ী ১৩৭৬, ১৪০৫,
১৪০৭, ইবনু মাজাহ ১০৮৮, আহমাদ ৩০৫০,
৪৪৫২, ৪৫৩৯, ৪৯০১, ৪৯২৩, ৪৯৮৫, ৪৯৮৮,
মুওয়াত্তা মালিক ২৩১, দারেমী ১৫৩৬
[7] তিরমিযী ৪৯৭, আবূ দাউদ ৩৫৪,
নাসায়ী ১৩৮০, আহমাদ ১৯৫৮৫, ১৯৬১২,
১৯৬৬১, ১৯৬৬৪, ১৯৭৪৬
[8] সহীহুল বুখারী ৮৮৩, ৯১০, নাসায়ী ১৪০৩, আহমাদ ২৩১৯৮, ২৩২০৬, ২৩২১৩,
দারেমী ১৫৪১
[9] সহীহুল বুখারী ৮৮১, ৯২৯, ৩২১১, মুসলিম ৮৫০, ১৮৬০, তিরমিযী ৪৯৯, নাসায়ী ৮৬৪, ১৩৭৫-১৩৮৮, আবূ দাউদ ৩৫১, ইবনু মাজাহ ১০৯২, আহমাদ ৭২১৭, ৭৪৬৭,
৭৫২৮, ৭৬৩০, ৭৭০৮, ৯৫৮২, ৯৬১০, ১০১৯০,
মুওয়াত্তা মালিক ২২৭, দারেমী ১৫৪৩
[10] সহীহুল বুখারী ৯৩৫, ৫২৯৫, ৬৪০০,
মুসলিম ৮৫২, তিরমিযী ৪৯১, নাসায়ী ১৪৩০-১৪৩২, আবূ দাউদ ১০৪৬, ইবনু মাজাহ ১১৩৭, আহমাদ ৭১১১, ৭৪২৩,
৭৬৩১, ৭৭১১, ৭৭৬৪, ৮৯৫৩, ৮৯৮৬, ৯৮৭৪,
৯৯২৯, ৯৯৭০, ১১২৩০, মুওয়াত্তা মালিক ২২২, ২৪২, দারেমী ১৫৬৯
[11] মুসলিম ৮৫৩, আবূ দাউদ ১০৪৯
[12] আবূ দাউদ ১০৪৭, ১৫৩১, নাসায়ী ১৩৭৪,
ইবনু মাজাহ ১৬৩৬, আহমাদ ১৫৭২৯,
দারেমী ১৫৭২


No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.