Header Ads

Best Electronics

যারা মিথ্যা কথা লেখেন না, তাদের উদ্বেগের কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেসব সাংবাদিক মিথ্যে কথা লেখেন না, তাঁদের উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য সম্প্রতি পাস হওয়া এই আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকেল চারটায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আজকের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নিউইয়র্কে তাঁর সফরের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সফরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।
লিখিত বক্তব্যের পর তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। জাতীয় সংসদে সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মিথ্যা কথা লেখেন না, তাঁদের এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে লেখা হয়, মানহানি করা হয়, তাঁদের বিষয়টি ভাবা হয় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এমন মিথ্যে সংবাদ যাঁর বিরুদ্ধে করা হবে, তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখার পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মিথ্যে কথা লেখে, তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। তার কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু যাঁর ক্ষতি হলো, তার কী হবে? আমাদের উদ্বেগ কে দেখবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও যদি অপরাধী মন না থাকে, তবে তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এর আগে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) প্রত্যেক দেশে বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেখানে সামাজিক, পারিবারিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, পর্নো এসব ছড়াচ্ছে। আমরা সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছি।’
নিউইয়র্কে ছয় দিনের সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি এ সংকট সামাল দিয়ে দূরদর্শী ভূমিকার জন্য নিউইয়র্কে দুটো সম্মাননা পান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। নিউইয়র্কে সফরের দ্বিতীয় দিন ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শরণার্থী সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শেখ হাসিনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।
সাধারণ পরিষদে ভাষণের আগে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘পূর্ণ সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতার’ প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর রওনা হয়ে দুদিন লন্ডনে কাটিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আর গত সোমবার তিনি দেশে ফেরেন।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.